সকালে এক গ্লাস গরম জলের সাথে লেবু মিশিয়ে খেলে যেমন ওজন কমে তেমনি অনেক রোগ মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হজম শক্তি, হূদরোগ, অ্যানিমিয়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডিপ্রেশান সহ বহু রোগ প্রতিরোধ করে লেবু। আমরা জানব, লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা।

লেবু খাওয়ার উপকারিতা
লেবু খাওয়ার উপকারিতা


লেবুর উপকারিতা যে আমাদের প্রতিদিন লেবু খাওয়া উচিত। লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

লেবু আকারে ছোট হলেও এর বিশেষ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিভাইরাল ও এন্টিফাঙ্গাল গুনাগুন থাকায় বিভিন্ন রোগ ও প্রতিকার ও প্রতিরোধের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেবুর গুণাগুণ এর জন্য লেবু কে Magic Food বলা হয়ে থাকে। লেবুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বিভিন্ন পার্টিক্যাল থাকায় লেবুর ঔষধি গুণ অনেক।



লেবুর উপকারিতা


লেবু হজমশক্তি বাড়ায়। ভিটামিন সি, পেকটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ লেবু বদহজম, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি বিভিন্ন হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।

লেবু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। হাইপারটেনশনের ভুগা রোগীরা প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে বিশেষ উপকারিতা পাবেন। লেবুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।

লেবু হূদেরাগের ঝুঁকি কমায়। লেবুতে সোডিয়াম খুব কম এবং পটাশিয়াম বেশি থাকায় উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ থাকার কারণে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পলি হূদরোগ অন্যান্য হূদরোগ জাতীয় সমস্যা সহজে নিয়ন্ত্রণে থাকে।

লেবু ওবিসিটি কমায়। ওবিসিটি নিয়ন্ত্রণের জন্য সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খান। লেবুর খোসা দিয়ে তাকে ফাইবার, পেকটিন জাতীয় উপাদান যা শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

লেবু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ফাইবার, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং জিংকযুক্ত থাকায় এই সাইট্রাস যুক্ত ফল কে আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন।

লেবুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্ষতিকর ফ্রিরেডিকেল সমূহ নিষ্ক্রিয় করে দেহের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেবু।

লেবু এনিমিয়া দূর করে। লেবুতে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় আয়রন না থাকলেও ডাল ও শাকসবজি অন হিম আয়রন শোষণে সাহায্য করে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড। তাই রক্তশূন্যতায় থাকা রোগীরা খাবার সাথে লেবু মিশিয়ে খান। এতে এনিমিয়া দূর হবে।

লেবু ডিহাইড্রেশন দূর করে। পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি ও ভিটামিন-সি যুক্ত লেবুর শরবত গরমের দিনে রোদে যাওয়ার আগে এবং ফিরে এসে খেলে শরীরের পানির পরিমাণ ঠিক থাকে এবং ডিহাইড্রেশন সম্ভাবনা কমে যায়।

লেবু ভাইরাল ইনফেকশন দূর করে। জ্বর, সর্দি কাশি, গলাব্যথা ও অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণ এরাতে সাহায্য করে লেবুর রস।

লেবু স্কার্ভি দূর করে। ঠোঁটে ও জিভে ঘা, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, নড়বড়ে দাঁত, মুখে দুর্গন্ধ ও খসখসে চামড়া ইত্যাদি বহু রোগ সারাতে সাহায্য করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু। এছাড়াও দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে সাহায্য করে লেবু।



লেবু উপকারী হলেও অতিরিক্ত নয়। অতিরিক্ত লেবু খেলে হাইপার এসিডিটি, বমি বমি ভাব, বার বার প্রস্রাব হওয়া, প্রোটিন হজমের গন্ডগোল, পাকস্থলীতে ক্ষত ইত্যাদি হতে পারে। যাদের মাইগ্রেন আছে এবং সাইট্রাস ফুড অ্যালার্জি আছে তারা লেবু খাবেন না অর্থাৎ অল্প পরিমাণ খাবেন। লেবু খাবার অথবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া উচিত। তা না হলে লেবু আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাছাড়াও লেবুর উপকারিতা অনেক।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন