![]() |
তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন |
দুপুরে খাওয়ার পর তরমুজ খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়, মন শান্ত হয় এবং খুশি খুশি ভাব থাকে। কারণ এক সমীক্ষায় দেখা যায় এতে ৯২% জলীয় অংশ, চিনি ও খনিজ উপাদান থাকে। তরমুজে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং খনিজ লবণ সহ ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এছাড়াও তরমুজে বিটা ক্যারোটিন যুক্ত অ্যামাইনো এসিড সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তরমুজের মতো তরমুজের বীজে ও ভীষণ উপকারী। তরমুজের বীজে তাকে লাইসিন নামক উৎসেচক যা ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করে। তরমুজের বীজ আপনার খাদ্য তালিকায় অনায়াসে যোগ করতে পারবেন।
তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা কি? কেন তরমুজ খাওয়া উচিত? কিভাবে তরমুজ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়?
তরমুজের ইংরেজি নাম হল Watermelon। তরমুজ আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তরমুজের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো আমাদের ওজন কমাতে দারুন ভাবে সাহায্য করে কারণ এতে প্রাকৃতিক জলের পরিমাণ অনেক বেশি। এর ফলে বিপাক ক্রিয়া সঠিক থাকে ও শরীরকে নানাদরনের টক্সিন এবং ফ্যাট থেকে মুক্ত করে, যা ওজন কমাতে খুব কার্যকর। একটি তরমুজের বড় টুকরা থেকে ৮৬ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। তরমুজে ২২ গ্রাম কার্বন থাকে এবং এতে কোন কোলেস্টেরল থাকে না। এটি আপনার শরীরের প্রতিদিনের ফাইবার এর চাহিদা পূরণ করে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, তরমুজের উপকারিতা এতটাই যে প্রতিদিন এক টুকরো তরমুজ খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূরে রাখা যায়। যা হৃদরোগের মতো রোগগুলিকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা সিট্রোলিন আমাদের হূদযন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী।
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল যা আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তরমুজ ভিটামিন এ-তে পরিপূর্ণ যা চোখের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। ভিটামিন এ চোখ পরিষ্কার রাখে এবং বয়স্কদের চোখে ছানি পড়া রোধ করে। ফলে প্রতিদিন তরমুজ খেলে আপনার দৃষ্টি শক্তি অনেকদিন ভালো থাকবে। তরমুজে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬, যা অ্যান্টিবডি গঠন করতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা ভিটামিন-এ শরীরকে নানা রকম সংক্রমণ হতে রক্ষা করে। ডায়াবেটিস কমাতে তরমুজের ভূমিকা অনবদ্য। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তরমুজ পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে কারণ বেশি খেয়ে ফেললে অস্বস্তি হতে পারে। তাই এই দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
আরো দেখুন :
তরমুজে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে সিট্রোলিন যা, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তরমুজ কিডনি ভালো রাখে। যদিও তরমুজে পটাশিয়াম রয়েছে কিন্তু অন্যান্য ফলের থেকে তরমুজে পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক কম। যার ফলে কিডনি সমস্যায় ভোগা মানুষদের জন্য এটি বেশ কার্যকরী। কিডনির সমস্যা থাকলে কম্পিউটার শিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত, আর এর ফলস্বরূপ তরমুজ ফল আপনি আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। প্রতিদিন সকালে তরমুজের রস খেতে পারলে শরীরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যাবে এবং কিডনি ভালো থাকবে। তরমুজে ভিটামিন বি ৬ থাকাই মস্তিষ্ককে সচল রাখে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন