সফলতার বিপরীতে রয়েছে ব্যর্থতা। ব্যর্থতাকে অতিক্রম করেই উন্নতিতে যেতে হয়। উন্নতি হলো বর্তমানের কাজ এবং ভবিষ্যতের দৃঢ় প্রত্যয়। জীবনে সফল হওয়ার উপায়। সফলতা হচ্ছে কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ধৈর্য সহকারে কর্মের প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করার নাম। পৃথিবীতে এমন কোন সফল ব্যক্তি নেই যাকে ব্যর্থতা আছ করেনি। ব্যর্থতা হচ্ছে সফলতার যাত্রা পথে সামান্য বিরোধী মাত্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক, জীবনে সফল হওয়ার কিছু কার্যকর পদ্ধতি

জীবনে সফল হওয়ার উপায়
জীবনে সফল হওয়ার উপায়


চিন্তা, প্রস্তুতি, চেষ্টা, সময়, মেধা, পরিকল্পনা ও কাজ। এই চাবিকাঠির মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে সফল হতে পারবেন খুব সহজেই।


জীবনে সফল হওয়ার উপায়


১/ চিন্তা
চিন্তাশক্তির প্রখরতা মানুষের মনের অলৌকিক পরিবর্তন আনতে পারে। যে সব চিন্তায় নিমগ্ন থাকে, কুশলতা তাকে স্পর্শ করতে পারে না। শিক্ষা ছাড়া চিন্তা বিপদজনক। মহৎ চিন্তা যার সঙ্গী, সে কখনোই ব্যার্থ হতে পারে না। ভালো একটি চিন্তা করলে, সৃষ্টিকর্তা পথ দেখাবেই। নেপোলিয়ান পাহাড়ে বসে চিন্তা করেই সফল হয়েছিলেন। কলম্বাস আবিষ্কারের চিন্তা করেই বিখ্যাত হয়েছেন। জগদ্বিখ্যাত সফল ব্যক্তিরা কোন বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন? মূলত স্বপ্ন ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে, জীবন নিয়ে, জীবন ও মানবতার সুখ নিয়ে তারা চিন্তা করেছিলেন।

২/ প্রস্তুতি
প্রস্তুতির অর্থ হচ্ছে ব্যর্থতাকে সহ্য করা। কখনো ব্যর্থতাকে মেনে নেওয়া নয়। এর অর্থ পরাজয়ের মানসিকতাকে ত্যাগ করে, জয়ের মুখোমুখি হওয়ার সাহস। একবার ব্যর্থ হয়ে নিরুৎসাহিত না হওয়া। প্রস্তুতির অর্থ ভুলগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ। আমরা সকলেই ভুল করি, ভুল করা কোনো অন্যায় নয়। একজন নির্বোধ একই ভুল বারবার করে। ভুল করে যে নিজেকে সংশোধন না করে সে ভবিষ্যতে আরো ভুল করতে পারে। প্রস্তুতি না থাকলে মনের উপর চাপ বাড়ে। আকাঙ্ক্ষা বা অল্প চিন্তাতে কোন কাজ হবে না। প্রস্তুতির ফলেই কেবল প্রতিযোগিতায় প্রাধান্য পাওয়া যায়। জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান এই জাতীয় অনুষ্ঠানের জন্য আমরা আগেই অনুষ্ঠানটি কি করে পর্যালোচনা করা যায় তা প্রস্তুতি নিই। কিন্তু আমরা সফলতা নামক সোনার পায়রা টি পেতে আগ্রহী। অথচ তেমন কার্যকরী বা বাস্তব প্রস্তুতি গ্রহণ করি না। জীবনে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে কেমন প্রস্তুতি চাই? বিশ্বাস করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ধৈর্য ধরা এবং লেগে থাকার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শারীরিক প্রস্তুতি হলো জামা কাপড় ইত্যাদি। মানসিক প্রস্তুতি হলো অ্যাক্টিভ এবং পজিটিভ হওয়া। সফলতায় বাধা আসবেই, তা জেনেও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা।

৩/ চেষ্টা
চাওয়াকে পাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে-পড়ে লাগাই হলো চেষ্টা। অর্থাৎ ব্যর্থ হলেও থামা যাবে না। একমাত্র আপনার চেষ্টায় পারে আপনাকে সফলতা এগিয়ে নিয়ে যেতে। কোন কিছু মনে রাখার সহজ ৩টি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি

৪/ সময়
সফলতার জন্য আমাদের পূর্ণ সময়ের মানসিকতা থাকা দরকার। অর্থাৎ আমাদের সীমাবদ্ধ সময়ের মাঝে যেটুকু আছে, সেটুকুর পূর্ণ সময় দিতে হবে। কোন কিছু না বুঝলে সেই বিষয়ে জানার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। সফল হওয়ার জন্য অনেক সময় অনেক তথ্য জানার প্রয়োজন হয়। আমরা নিজের জন্য কিছু সময় অর্জন করতে সক্ষম হব, যা দিয়ে আমাদের পরিবারের বড় ধরনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব। জীবন গঠনের জন্য সু অভ্যাস প্রয়োজন। পরবর্তী ৩০ দিন যদি কঠোর অধ্যাবসায় হই, নিশ্চিত এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

৫/ মেধা
সফলতা অর্জনের জন্য কিছু মেধা বিনিয়োগ করতে হবে। এই মেধাবী নিয়োগ করতে হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যেমন: আমাদের মধ্যে ৫৫% লোক নেতিবাচক। এরা আমাদের প্রতিদিন বিভিন্ন রকম নেতিবাচক প্রশ্ন করতে থাকে। তাই এদেরকে সন্তোষজনক উত্তর দেওয়ার জন্য সূক্ষ্ম মেধা ব্যয় করতে হবে। বিভিন্ন রকমের লোক অর্থাৎ চাকুরীজীবী, পেশাজীবী ব্যবসায়ীদের কন্ট্রোল করার জন্য ও কাঙ্খিত ক্ষেত্রে আমন্ত্রণ করার জন্য ভিন্ন কৌশল জানতে হবে। এবং তাদের বাগে আনার জন্য বিভিন্ন রকম নতুন নতুন কৌশল এর জন্য মেধা ব্যয় করতে হবে। সর্বোপরি, ক্রিয়েটিভ অর্থাৎ সৃজনশীল হওয়ার জন্য মেধা ব্যয় করতে হবে। যেটি দক্ষ, দায়িত্বশীল ও নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ব শর্ত। হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

৬/ পরিকল্পনা
কিভাবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা যায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার জন্য পরিকল্পনা প্রয়োজন। কিভাবে লিডার, ক্রিয়েটিভ, ট্রেইনার ও মোটিভেটর হওয়া যায় তার জন্য পরিকল্পনা করা।

৭/ কাজ
জীবন মানেই কাজ। সফলতার জন্য প্রয়োজন চিন্তা, পরিকল্পনা ও কাজ। আর কাজ হল সফলতার সাথে সরাসরি যুক্ত। কাজের মধ্য ধারাবাহিকতা জরুরি। তাহলেই সফলতার দিগন্ত উন্মোচিত হবে।


শেষ কথা,

জীবনে সফল হওয়ার জন্য আমরা সবাই আগ্রহী। সুতরাং আপনাদের দৈনিক জীবনে আপনাদের সফলতা পাওয়ার জন্য উপরুক্ত কৌশল গুলো দৈনন্দিন জীবনে কার্যকর করুন। আপনাকে সফলতার পিছনে ছুটতে হবে না, সফলতা আপনার পিছনে ছুটবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন